ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ব্যাখ্যাকে ‘বিভ্রান্তিকর’ হিসেবে অভিহিত করেছে ছাত্রদল। তারা সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা জাতির সামনে উন্মোচনের দাবি জানিয়েছে।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ বিভিন্ন অস্পষ্ট তথ্য উপস্থাপন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। জনগণের সামনে সত্য লুকানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই ব্যাখ্যা হত্যা রহস্য আড়াল করার চেষ্টা মাত্র। সাম্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সাহস আরও বলেন, সাম্য হত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ শিক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ করেছে। উপাচার্যের অপেশাদার আচরণ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এরপর সাম্য ও তার পরিবারকে জড়িয়ে নানা গুজব ছড়ানো হয়, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক।
ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, যেভাবে সাম্যকে আঘাত করা হয়েছে, তাতে পেশাদার খুনির সংশ্লিষ্টতা ছাড়া সম্ভব নয়। অথচ কারা এই খুনি আনল, সে বিষয়ে পুলিশ কিছুই বলেনি।
এর আগে গত ২৭ মে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানান, ১৩ মে রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বন্ধুদের সঙ্গে অবস্থানকালে সাম্য স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী রাব্বির সঙ্গে কথাকাটাকাটির জেরে সুইস গিয়ারে আঘাত পান, যা পরবর্তীতে মৃত্যুর কারণ হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান অনিক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন শাওনসহ নানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।