ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আলোচিত ও সমালোচিত অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের সঙ্গে যশ দাশগুপ্তের সম্পর্কের কথা গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। নুসরাত তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য আর যশ বিপরীত মেরুতে গিয়ে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভায় বিজেপির হয়ে প্রার্থী হয়ে হেরেছেন। কিন্তু দুজনের রসায়নে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, গত ছয়মাস ধরে নাকি এক ছাদের তলাতেই থাকছেন দুই তারকা যশ ও নুসরাত। নুসরাত তার হবু সন্তানের বাবার পরিচয় ফাঁস না করলেও, দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিতে অসুবিধা হচ্ছে না নেটিজেনদের।
যশের নীরবতা নিয়ে নানা প্রশ্ন এখন সামনে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কমেন্ট বক্সে উপচে পড়ছে প্রশ্নবাণ। কেন চুপ রয়েছেন যশ? কেন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করছেন না? জানতে চান অনেকেই। কেউ কেউ তো যশকে নির্লজ্জ বলেও দাবি করেন। নিখিল-নুসরাতের সংসার ভাঙার জন্য যশই দায়ী লিখছেন অনেকে।
রোববার হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, এত কিছুর পরও ‘কুছ তো লোক কহেঙ্গে’ এমনটাই ভাবনা অভিনেতা যশের। তবে নুসরাত জাহানের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের সামনে গোটা বিষয় নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে চলেছেন।
নিজের অবস্থানকে সঠিক প্রমাণ করতে এবার ভগবান আর শয়তানের উদাহরণ টেনে বসলেন যশ। নুসরাত ও তার বিশেষ বন্ধুকে নিয়ে জোর আলোচনা টলিপাড়ায়। নিখিল আগেই নুসরাতের সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেছেন।
দুদিন আগেই যশের কমেন্ট বক্সে এক নেটিজেন তোপ দেগে লিখেছিলেন, ‘তুমি অনেকের অনুপ্রেরণা ছিলে। তাই বলছি, অন্য কাউকে এ রকম শিক্ষা দিও না যে তারাও অন্য কারও জীবন নরকে পরিণত করে। অন্তত তোমার পরের প্রজন্মকে অমানুষ হতে শিখিও না। এতটুকুই অনুরোধ ছিল।’ উপরের মন্তব্যের মতো নেতিবাচক মন্তব্যগুলোর জবাব দিয়েছেন বলেই সবাই ধারণা করছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজের খবরে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হওয়া যশ ও নুসরাতের কাছে এখন রোজকার ঘটনা হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সুফি কবি রুমির আশ্রয় নিলেন যশ।
ছবি: নুসরাতের ইনস্টাগ্রাম থেকে সংগৃহীত
রোববার যশের ইনস্টা স্টোরিতে উঠে এসেছে মুসলিম সুফি কবি আল্লামা রুমির দর্শন।
যেখানে লেখা রয়েছে, ‘যা তোমাকে কষ্ট দেয়, সেটা আসলে আশীর্বাদ। অন্ধকার তোমার মোমবাতি। আপনার সীমানা তোমার সন্ধান। ব্যর্থতা এর মধ্যেই রয়েছে সাম্রাজ্যের চাবিকাঠি। যদি উদ্বিগ্ন হও তাহলে ধৈর্য ধরো। ধৈর্যের চাবি খুশির দরজা খুলে দেয়। তুমি মনে করো তুমিই দরজার তালা হয়ে দাঁড়িয়েছ, তবে জানবে সেই তুমিই আবার চাবি হয়ে উঠবে।’