1. msuzon.du@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. rajib.du1415@gmail.com : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  3. support@renexlimited.com : অনলাইন : Renex অনলাইন
ভাইরাল ছবিটি ঘিরে ক্ষমা প্রার্থনার গল্প সত্য নয় - Dainik Deshbani
বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন

ভাইরাল ছবিটি ঘিরে ক্ষমা প্রার্থনার গল্প সত্য নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১

সোশ্যাল সাইটে আকর্ষণীয় কিছু একটা প্রকাশ হলেই হয়, সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে সেটার ওপর। সেই ছবি কিংবা খবরের সত্যতা যাচাই করার প্রয়োজনও কেউ বোধ করেন না। গতকাল থেকে একটা ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং একটি ৮-৯ বছরের বালককে। সেই বালকের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে কিছু বলছেন জো বাইডেন। আশেপাশে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী।

এই ছবিটিই সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল করে গল্প বানানো হয়েছে যে, বালকটি হলো গত বছরের মে মাসে পুলিশ কর্তৃক খুন হওয়া কৃষ্ণাঙ্গ বাস্টেকবল খেলোয়াড় জর্জ ফ্লয়েডের ছেলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার কাছে হাঁটু গেড়ে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইছেন বলে একটি গল্পও সাজানো হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ছবিটি এবং ছবি ঘিরে সাজানো গল্প শেয়ার করছেন। বলা হচ্ছে, মার্কিনীরা কত ভালো আর আমরা কত খারাপ.. ইত্যাদি ইত্যাদি।

প্রকৃতপক্ষে ছবিটি সত্য, কিন্তু এর পেছনের গল্পটি সত্য নয়। ছবিটি তোলা হয়েছিল ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। রয়টার্সের সাংবাদিক কোরিন্নি পার্কিন্স ছবিটি ওই সময় টুইট করেন। তখনো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হননি। তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালতে মিশিগানের ডেটট্রয়েটে গিয়েছিলেন। একটি দোকান থেকে কিছু কাপড় কেনাকাটার পর এই বালকটি তার চোখে পড়ে। বালকটির সঙ্গে তখন তিনি কিছু সময় গল্প করেন। এই ছবিটিই বেশ কয়েকটি অ্যাঙ্গেল থেকে ক্যামেরাবন্দি করা হয়।

বালকটির নাম সিজে ব্রাউন। সে মোটেও বাস্কেটবল খেলোয়াড় জর্জ ফ্লয়েডের ছেলে নয়। তার বাবার নাম ক্লিমেন্ট ব্রাউন। বাইডেন ‘থ্রি থার্টিন ক্লথিং’ নামের যে দোকান থেকে কাপড় কিনেছিলেন, সিজে ব্রাউনের বাবা হলেন তার মালিক। ওই সময় বাইডেন শিশুটিকে দেখে এমনিতেই কথা বলছিলেন। ক্ষমা চাওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। এরপর নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জো বাইডেন। সোশ্যাল সাইট ব্যবহারকারীরা এর পরেও কি সচেতন হবেন?

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৫ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব