1. msuzon.du@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. maharaj.cu@gmail.com : Maharaj Hossain : Maharaj Hossain
  3. rajib.du1415@gmail.com : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  4. support@renexlimited.com : অনলাইন : Renex অনলাইন
এসপি অফিসে পলাতক সাবেক এমপি বাহারের পরিবহনখাতের নিয়ন্ত্রণক তাজুলের প্রকাশ্য উপস্থিতি: এসপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন - Dainik Deshbani
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন

এসপি অফিসে পলাতক সাবেক এমপি বাহারের পরিবহনখাতের নিয়ন্ত্রণক তাজুলের প্রকাশ্য উপস্থিতি: এসপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫

কুমিল্লা জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম (তাজু), যিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন, সম্প্রতি প্রকাশ্যে চলাফেরা শুরু করেছেন। বহিষ্কৃত সাবেক এমপি বাহারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত এই ব্যক্তি কুমিল্লার পরিবহন সেক্টরে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন বিগত ফ‍্যাসিস্ট আমলে। কিন্তু সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হলো, গত ২ মার্চ ২০২৫ তারিখে কুমিল্লার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত বাস মালিক কমিটির সভায় তাজু সরাসরি অংশগ্রহণ করেন, যেখানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।

এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করছেন, এমন একজন ফ‍্যাসিস্টের দোসর ব্যক্তি কিভাবে এসপি অফিসে এসে সভায় অংশ নেন, তা স্পষ্টতই প্রশাসনের মদদপুষ্ট বলেই প্রতীয়মান হয়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান কি তাহলে বাহারের সহযোগীদের রক্ষা করতে কাজ করছেন? তার নিরপেক্ষতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ভূমিকা নিয়ে জনমনে ব্যাপক সন্দেহ দানা বেঁধেছে।

স্থানীয়দের মতে, এসপি নাজির আহমেদ খান হয়তো নিজেই তাজুল ইসলামের মতো বিতর্কিত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে ভূমিকা রাখছেন। অনেকেই বলছেন, এই পুলিশ সুপার প্রশাসনের দায়িত্ব পালনের চেয়ে সুবিধাবাদী মহলকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার কাজে ব্যস্ত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, “একজন পলাতক ও অপরাধের সাথে যুক্ত ব্যক্তি যদি প্রশাসনের অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে আসে, তাহলে স্পষ্টতই বোঝা যায়, প্রশাসনের কোনো না কোনো স্তরে তাকে সহায়তা করা হচ্ছে। এসপি নাজির আহমেদ খান এ দায় এড়াতে পারেন না।”

অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। তারা প্রশাসনের এই ধরনের বিতর্কিত ভূমিকার বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত এবং ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে। কুমিল্লার সচেতন মহল বলছে, যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই অপরাধীদের আশ্রয় দেয়, তাহলে বিচার ও ন্যায়বিচার কীভাবে নিশ্চিত হবে? প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে তারা মনে করছেন।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৫ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব