আউটসোর্সিং ও অনিয়মিত প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া কর্মীদের মজুরিবিষয়ক অর্থনৈতিক কোডের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে নীতিমালা বা পরিপত্রের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় আউটসোর্সিং এবং অন্য ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কোডের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়ে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আনুষঙ্গিক কর্মচারীর (সরকারি কর্মচারী ব্যতীত) সাকল্য বেতন, আউটসোর্সিং এবং অনিয়মিত শ্রমিক মজুরিবিষয়ক অর্থনৈতিক কোডের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে জারি করা নীতিমালা, পরিপত্র ও অফিস স্মারকের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না। একই ধরনের কাজের জন্য বর্ণিত একাধিক কোডে অর্থ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। যে কোডে বরাদ্দ রাখার সুযোগ নেই, সেখানেও রাখা হচ্ছে– যা আর্থিক শৃঙ্খলার পরিপন্থি।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ এপ্রিল অর্থ বিভাগ আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ এবং দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিত করার বিষয়ে দুটি নীতিমালা জারি করে। দুটি নীতিমালায় সেবা ক্রয় এবং জরুরি কাজে সম্পূর্ণরূপে সাময়িকভাবে দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োজিত করার বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অর্থ বিভাগ বলেছে, পরিচালন বাজেটের আওতায় সাকল্য বেতনে নিয়োজিত জনবলের (প্রাধিকারভুক্ত প্রিভিলেজ স্টাফ ও চুক্তিভিত্তিক) ব্যয় ‘সাকল্য বেতন (সরকারি কর্মচারী ব্যতীত)’ খাত হতে নির্বাহ হবে। যেহেতু তারা সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত নন, সেহেতু তাদের প্রযোজ্য বিধিবিধান ও নিয়ম-আচার অনুসারে বেতনভাতাদি সমন্বয়ে সাকল্যে বেতন দিতে হবে। এ ছাড়া আনুষঙ্গিক কর্মচারী সরকারের নিয়মিত রাজস্বভুক্ত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত না
হয়ে নির্দিষ্ট কোনো কার্য সম্পাদনে স্কেলের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে যাদের চাকরি নিয়মিত হয়েছে, শুধু তাদের বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় এ কোডের বিপরীতে হিসাবভুক্ত করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এসব অর্থনৈতিক কোডের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রযোজ্য ও অনুসরণীয় হবে। একই ধরনের কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোডের বিপরীতে বরাদ্দ না রেখে সব আনুষ্ঠানিকতা পালন করে প্রাপ্যতা অনুযায়ী এ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অর্থের সংকুলান সংশ্লিষ্ট অর্থবছরের বাজেটে নির্দিষ্ট কোডের বিপরীতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর এবং অধীন সংস্থাকে বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে এসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।