আগামী মাসেই ৫৪-তে পা দেবেন। এমন সময়ে এসে ক্লাব ইয়কোহামা এফসির সঙ্গে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হলেন বর্ষীয়ান স্ট্রাইকার কুজোওশি মিউরা। এতে জাপানের সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হিসেবে রেকর্ডের পাতাটা আরও বড় করলেন তিনি।
উদ্যমী অনফিল্ড স্ট্রাইলের কারণে ফুটবল মাঠে তার বেশি পরিচিতি ‘কিং কাজু’ নামিই। চলতি বছর ক্যারিয়ারের ৩৬তম মৌসুমে পা রাখবেন মিউরা। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন! খেলোয়াড়দের বয়স ৩৬ হতেই যেখানে ক্যারিয়ারের বিদায় ঘণ্টা বেজে যায়, মিউরা সেখানে খেলছেনই ৩৬ মৌসুম ধরে।
শুধু খেলছেনই না, এখনও তরুণদের মতো উদ্যম নিয়ে অনুশীলন করে যাচ্ছেন। মাউরো বলেন বলেন, ‘গত মৌসুমে যখন করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব কঠিন সময় পার করছিল, আমি কিন্তু ফুটবল খেলাটা বেশ উপভোগ করেছি। ব্যক্তিগতভাবে মৌসুমটা সন্তোষজনক না হলেও, আমার লক্ষ্য এবং আগ্রহ ফুটবলের প্রতি বাড়ছেই। আমি প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করেই যাব, এই মৌসুমে যত বেশি সম্ভব ম্যাচ খেলে দলের জয়ে অবদান রাখতে চাই।’
গত বছর ক্লাবের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় মিউরার। ৫৩ বছর ৯ মাস বয়সে খেলতে নেমে ইতিহাসে সবচেয়ে বয়সী প্রথম শ্রেণির জে-লিগ খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ডও গড়েন।
২০০৫ সাল থেকেই ইয়কোহামার হয়ে খেলছেন মিউরা। এর মধ্যে বয়স্ক ফুটবলার হিসেবে বেশ কয়েকটি রেকর্ড ছুঁয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে ২০১৭ সালে পেশাদার ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হিসেবে গোল করার রেকর্ডও।
১৯৮২ সালে জাপান ছেড়ে ব্রাজিলে পাড়ি জমিয়েছিলেন মিউরা। ১৯৮৬ সালে সান্তোস এফসির হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেকও হয়ে যায় তার। ১৯৯০ সালে ডাক পান জাপানের জাতীয় দলে, জায়গা হয়েছিল ১৯৯৮ বিশ্বকাপের দলেও।
তবে জাতীয় দলে ৮৯ ম্যাচে ৫৫ গোল নিয়েও ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের মূল দলে জাপানের জার্সি গায়ে জড়াতে পারেননি মিউরা। কিন্তু খেলার প্রতি আগ্রহটা তার বিন্দুমাত্র কমেনি।
৫৪-তে দাঁড়িয়ে বললেন, ৬০ বছরের আগে অবসরে যেতে চান না কিছুতেই। মিউরার এখনও যে স্পৃহা, যে কোনো ফুটবলারের জন্যই অনুপ্রেরণাদায়ী এক চরিত্র হয়ে থাকবেন এই স্ট্রাইকার।