বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও পুলিশ প্রশাসনে সব সাম্প্রদায়িক লোকজন ঢুকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু বাড়িতে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় প্রশাসনের নিরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘সুনামগঞ্জের হিন্দুদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে স্থানীয় কিছু বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু জেলা এবং উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোনও প্রতিবাদ করেনি, যা আমাদের ভাবায়। একইসঙ্গে প্রশাসনের তীক্ষ্ন নিরাবতাও আমাদেরকে বার বার ভাবায়। আমাদের শাল্লা থেকে জানানো হয়েছে, সেখানে হামলা হতে পারে। প্রশাসন জেনেও কেন নিরব ছিল, আমরা কি ধরে নেবো যে, এই প্রশাসনে সব সাম্প্রদায়িক লোকজন ঢুকে গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে সব সাম্প্রদায়িক লোকজন ঢুকে গেছে। আওয়ামী লীগের কোনও নেতাকেও দেখলাম না, এ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে। আওয়ামী লীগে কি একটিও অসাম্প্রদায়িক নেতা নেই যে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘অত্যন্ত দু:খের সঙ্গে জানাতে হয় যে, আমরা মুজিব আদর্শের রাজনীতি করি, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের চেয়ে অনেক পুরাতন সংগঠন। বঙ্গবন্ধু তার এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগও ভুল করতে পারে, কিন্তু ছাত্রলীগ ভুল করতে পারে না। সে ধারাবাহিকতায় আমরা বলতে চাই, ছাত্রলীগ ভুল করবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘গৌরবান্বিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যখন উদযাপন হচ্ছে, সেটিকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য শাল্লায় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। ছাত্রলীগ পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে কেন্দ্র করে একটি জনবিচ্ছিন্ন শক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ পুরো ঢাকা জুড়ে তথাকথিত রাজনৈতিক কর্মসূচী দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতায় যদি কেউ এই অনুষ্ঠান বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করে শুধু ছাত্রলীগ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে জবাব দেবে।’