1. msuzon.du@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. rajib.du1415@gmail.com : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  3. support@renexlimited.com : অনলাইন : Renex অনলাইন
শুল্কের কারণে পোশাক রপ্তানিতে ধাক্কা, অর্ডার স্থগিত করছে মার্কিন ক্রেতারা - Dainik Deshbani
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন

শুল্কের কারণে পোশাক রপ্তানিতে ধাক্কা, অর্ডার স্থগিত করছে মার্কিন ক্রেতারা

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির প্রভাবে বাংলাদেশের প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো মারাত্মক অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। মার্কিন ক্রেতারা একের পর এক অর্ডার স্থগিত করছে বলে জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারকরা। খবর খালিজ টাইমস, ডন, এএফপি

বুধবার (২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের তুলাজাত পণ্যের উপর শুল্ক ১৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশে উন্নীত করেন। এই সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পড়েছে, যেখানে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাত দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশ যোগান দেয়।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন যেন নতুন শুল্ক কার্যকর করার সময়সীমা তিন মাস পিছিয়ে দেয়া হয়। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে চায়। ড. ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের প্রস্তাবিত রপ্তানির মধ্যে রয়েছে তুলা, গম, ভুট্টা ও সয়াবিন- যা যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদেরও উপকারে আসবে।

এই পরিস্থিতিতে দেশীয় রপ্তানিকারকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এসেনসর ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান জানান, রোববার আমার একজন দীর্ঘদিনের মার্কিন ক্রেতা ৩ লাখ ডলারের চামড়াজাত পণ্যের চালান স্থগিত করতে বলেছেন। তিনি বলেন, আমরা দুজনেই এই পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছি। মুশফিকুর রহমান ২০০৮ সাল থেকে ব্যবসা করে আসছেন এবং মাসে গড়ে ১ লাখ ডলারের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেন।

অন্যদিকে, তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান উইকিটেক্স বিডি’র সিইও একেএম সাইফুর রহমান জানান, তার মার্কিন ক্রেতা ১.৫ লাখ ডলারের একটি চালান স্থগিত করার কথা জানিয়েছেন। সাইফুর রাহমান আরও বলেন, ক্রেতা বলেছেন তারা অতিরিক্ত খরচ ভোক্তাদের উপর চাপাতে পারবেন না, তাই আমাদেরই দাম কমাতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-এর সরকার নিযুক্ত প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন মার্কিন ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠিতে সহানুভূতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, আমরা জানি অনেক ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতা ইতোমধ্যেই তাদের সরবরাহকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে, তবে এই মুহূর্তে সরবরাহকারীদের উপর অতিরিক্ত চাপ দিলে সংকট আরও গভীর হবে।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিশেষ করে ছোট ক্রেতারা চাপ দিচ্ছেন যাতে আমরা পুরো শুল্ক বহন করি বা অন্তত একটি অংশ শেয়ার করি। এই অবস্থায় অনেক অর্ডারই অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে।

২০২৪ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮.৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৭.৩৪ বিলিয়ন ডলার এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নতুন শুল্কনীতি বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে, বিশেষত এমন একটি সময়ে যখন খাতটি রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৫ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব