1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন

রেলে নাশকতা ঠেকাতে নিরাপত্তা জোরদার

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১

নাশকতাকারীদের টার্গেট হয়ে উঠছে রেলপথ। হরতাল-অবরোধ কিংবা যে কোনো সহিংস ঘটনায় লাইন উপড়ে ফেলাসহ স্টেশন ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। শনিবার ভোরে মাদ্রাসাছাত্ররা চট্টগ্রাম-হাটহাজারী রেলপথ অবরোধ করায় ওই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে অগ্নিসংযোগসহ ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সব ধরনের ট্রেনের বিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। রেলপথে নাশকতা রোধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে দুই অঞ্চলসহ ৪ ডিভিশনে ইমারজেন্সি সেল খোলা হয়েছে।

রেলপথ সচিব মো. সেলিম রেজা যুগান্তরকে জানান, যাত্রী ও ট্রেন চালক-গার্ডদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় অতিরিক্ত আনসার মোতায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রেল রক্ষায় সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রেল সচিব। রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. শাহ আলম যুগান্তরকে জানান, শুক্রবার রাত থেকে ট্রেনে অতিরিক্ত পুলিশ-নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য দেওয়া হয়েছে। স্টেশন এলাকায় বেঙ্গল পুলিশ, র‌্যাব ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। ইঞ্জিনে অস্ত্রধারী পুলিশ দেওয়ার নির্দেশনা এলেই বাস্তবায়ন করা হবে। রেলওয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, মাদ্রাসাছাত্রদের বিক্ষোভ রেলওয়েতে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। স্টেশন ভাঙচুরসহ ট্রেন ও লাইনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাতে পারে। এমন সহিংসতা প্রতিরোধে রেলকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় সিগন্যাল ব্যবস্থা পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। রাত থেকেই ওই স্টেশনে সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী রেলপথে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী যুগান্তরকে জানান, শুক্রবারের সহিংসতায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সারা দিন এ পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর শনিবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেলপথে ট্রেন চালানো শুরু হয়। ১০ দিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এ সময়ে যারা টিকিট কেটেছেন, তাদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। শনিবার ভোর থেকে চট্টগ্রাম-হাটহাজারীর পথে অবস্থান নেয় মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা। ওই পথে ভোর থেকে সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে পূর্বাঞ্চল রেলপথে চলাচলকারী সব ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১ থেকে ৩ ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করছে। কর্মকর্তারা জানান, সহিংসতার কারণে সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। যা ঠিক হতে আরও ৩-৪ দিন সময় লাগবে। তাছাড়া সহিংসতা প্রতিরোধের অংশ হিসাবে পুরো রেলেই কিছুটা ধীরগতিতে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েই এখন ট্রেন চালাতে হচ্ছে। রোববারের হরতালেও ট্রেন চলবে। তবে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ট্রেন চালানো বিরাট ঝুঁকির হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাতের ট্রেনগুলো ছাড়ার আগে শুধু একটি ইঞ্জিন দিয়ে সামনের পথ পরির্দশন করা হবে। পরির্দশনে লাইন-ব্রিজ ঠিকঠাক থাকলে ট্রেন চালানো হবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ জানান, শুক্রবার রাত থেকেই বিশেষ নিরাপত্তায় ট্রেন চালানো হচ্ছে। গতি কমানো হচ্ছে। ইমারজেন্সি সেল গঠন করা হয়েছে। সেল থেকে নির্দেশনা পেলেই ট্রেন চালানো হচ্ছে। চলন্ত ট্রেনের দরজা-জানালা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব