অনেকটা ঢাকঢোল পিটিয়েই করোনার টিকা নিয়েছিলেন কলকাতার বিখ্যাত নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। বেশ খুশিমনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিও শেয়ার করেছিলেন। কিন্তু সেই খুশি ফিকে হতে সময় লাগল না। টিকা নিয়ে বিপাকে পড়া মিথিলার স্বামী জানিয়েছেন, কিছুতেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন না তিনি।
বুধবার কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন সৃজিত। তার নিচেই বইতে শুরু করে প্রশ্নের বন্যা।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে এবং ৪৫ বছরের বয়সি যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাদেরই টিকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বয়স এখনও ৪৫ পার হয়নি। এই বয়সে তিনি কীভাবে টিকা নিলেন, এই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা।
অনেকে প্রশ্ন করছেন— তিনি কি তার বয়সের তথ্য গোপন করেছেন। আবার কেউ করেছেন— হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা তার কাছে কোনো বয়সের নথি দেখতে চাইলেন না।
সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত সৃজিত নিজের করোনা টিকা নেওয়ার সেই পোস্টটি মুছে ফেলেন।
পরে আরেকটি পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই পোস্টে তিনি লেখেন— আমি আমার বন্ধু ইন্দ্রনীল রায় যে ভ্যাকসিন নিয়েছে, তার থেকে জানলাম যে টিকার বয়সসীমা ৪০-এ নামিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু এখন আমি জানতে পারছি যে, বয়সসীমা ৪৫ রয়েছে। আমার বয়স ৪৪। কিন্তু টিকা নেওয়ার পর বুঝতে পেরেছেন যে, তথ্যটি ভুল ছিল। যদিও তার উচ্চরক্তচাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক।
তবে পোস্টের শেষ দিকে অভিমান প্রকাশ করেন সৃজিত। লেখেন— এক দফা টিকা নিয়ে পরের ডোজ না নিলে যদি সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়, তবু আর হাসপাতালমুখী হবেন না তিনি। সৃজিতের প্রতিজ্ঞা— টিকার দ্বিতীয় ডোজটি কিছুতেই নেবেন তিনি।
করোনার কারণে গত এক বছরে সৃজিতের কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। তবে ওয়েবে ভীষণ ব্যস্ত। শিগগিরই হইচই-এ মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশি লেখক মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিনের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘এখানে রবীন্দ্রনাথ কখনও খেতে আসেননি’।