নাটোরের লালপুর উপজেলায় নিবন্ধনহীন একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা ও এমবিবিএস চিকিৎসকের ভুয়া পরিচয় দিয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার অপরাধে একজনকে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ কাজে সহায়তার জন্য অপর এক যুবককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
র্যাবের অভিযানের পর শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লালপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মি আক্তার এ দণ্ডাদেশ দেন।
দুই বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তি হলেন মোস্তাফিজুর রহমান (৩৬)। ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা ওই যুবকের নাম আলমগীর কবীর (২৬)।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ বলেন, লালপুরে করিমপুর রেলগেটে অবস্থিত ওয়ান ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড চেম্বারের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান। প্রতিষ্ঠানটির কোনো নিবন্ধন ছিল না। মোস্তাফিজুর এমবিবিএস চিকিৎসকের ভুয়া পরিচয় দিয়ে চিকিৎসাসেবা ও রোগীর চিকিৎসাপত্র দিয়ে আসছিলেন। এমন খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর সহযোগী আলমগীর কবীরকে আটক করা হয়। তাঁরা আদালতের কাছে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত মোস্তাফিজুর রহমানকে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। আর আলমগীর কবীরকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি টাকা পরিশোধ করে ছাড়া পান। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মোস্তাফিজুর রহমানকে শুক্রবার বিকেলে নাটোর কারাগারে পাঠানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মি আক্তার বলেন, এমবিবিএস পাস না করে একজন পল্লিচিকিৎসক নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীদের চিকিৎসাপত্র দিতে পারেন না। তিনি বহু চিকিৎসাপ্রার্থী মানুষকে ঠকিয়েছেন। এ অপরাধে তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।