ব্রিটিশ রয়েল নেভির বিমানবাহী রণতরি এইচএমএস কুইন এলিজাবেথে কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। রণতরিতে প্রায় এক শ নাবিকের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। এই রণতরির সঙ্গে থাকা বহরের আরও কয়েকটি রণতরিতেও করোনা করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন, রণতরির সব নাবিক ইতিমধ্যে করোনার টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।
এইচএমএস কুইন এলিজাবেথ রণতরির নেতৃত্বেই যুক্তরাজ্যের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের (সিএসজি) প্রথম অপারেশন চলছে। এই গ্রুপে নয়টি জাহাজ, ৩২টি রণতরি এবং ৩ হাজার ৭০০ নৌ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। গত মে মাসের শেষ দিকে এই গ্রুপের সাত মাসের যাত্রা শুরু হয়। বিশ্বের এক–পঞ্চমাংশ দেশের জলসীমা ঘুরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের।
এইচএমএস কুইন এলিজাবেথ ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করেছে। রয়েল নেভি বলছে, বছরের শেষ দিকে তারা জাপানের দিকে যাত্রা শুরু করবে।
রয়েল নেভির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবার মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা এবং আক্রান্তদের সংস্পর্শে ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে অল্পসংখ্যক নাবিকের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং এতে মোতায়েনে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
ব্রিটিশ রয়েল নেভির জাহাজে করোনা ভীতি এবারই প্রথম নয়। গত বছর নর্থামবারল্যান্ড নামে আরেকটি রণতরিতে কয়েকজনের করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর সেটিকে উপকূলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। বড়দিনের পুরো সময় নাবিকদের আইসোলেশনে কাটাতে হয়েছিল।
এই বিশ্ব সফরই এইচএমএস কুইন এলিজাবেথের প্রথম অপারেশনাল ডেপ্লয়মেন্ট। এ যাত্রায় সমুদ্রপথে ২৬ হাজার মাইল পাড়ি দেয় রণতরিটি। গত ২২ মে পোর্টসমাউথ নৌঘাঁটি থেকে ইউকে ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের প্রথম যাত্রা শুরু হয়। তার আগে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেখ ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রণতরিটি পরিদর্শন করেন।
এইচএমএস কুইন এলিজাবেথ রণতরি ২০১৭ সালে কমিশন্ড লাভ করে। ২০১৪ সালে বাতিল হয়ে যাওয়া রণতরি ইলাসস্ট্রিয়াসের স্থলাভিষিক্ত হয় এই রণতরি।