1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৮ অপরাহ্ন

বিতর্কিত যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক ও যুক্তরাজ্য বিএনপির গ্রুপিং।

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেনকে আহ্বায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি গঠন করে। কেন্দ্রীয় এই কমিটির তত্ত্বাবধানে সারা বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মতো বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এর কমিটি গঠন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত জানুয়ারী মাসে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিককে আহ্বায়ক ও সেক্রেটারি কয়সর এম আহমেদকে সদস্য সচিব করে যুক্তরাজ্যে ২৬৯ সদস্য বিশিষ্ট বিশাল কমিটি গঠন করা হয়।

শুরু থেকেই কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া ও এর বিশাল আকৃতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয় যুক্তরাজ্যে। যার পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত কমিটি থেকে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা সাইস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, যুক্তরাজ্য বিএনপির অন্যতম সিনিয়র সদস্য লুৎফুর রহমান, শরিফুজ্জামান চৌধুরী তপন, দেওয়ান মোকাদ্দেম চৌধুরী নিয়াজ, শহীদুল ইসলাম মামুন, নাসিম আহমেদ চৌধুরী সহ প্রভাবশালী অনেক সদস্য পদত্যাগ করেন। কমিটির সদস্য সচিব কয়সর এম আহমেদ শুরু থেকেই এই কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় উনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে এই প্রতিনিধিকে অবহিত করেন। যার কারণে প্রথম থেকে নেতাকর্মীদের সকল ক্ষোভ গিয়ে নিপতিত হয় কমিটির আহ্বায়ক এম এ মালিক ও একমাত্র যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিনের উপর। ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দ ও টাকার বিনিময়ে অনেক অপরিচিত ও বিতর্কিত লোকজন কমিটিতে থাকলেও বাদ পড়েন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাউথ ইস্ট লন্ডন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আকিব আলী শিবলু, মহিলাদলের সদস্য সচিব অঞ্জনা আলম, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক সেক্রেটারি সোয়ালেহীন করিম ,নুরুল আলি রিপন ,চৌধুরী সহ অনেক সক্রিয় নেতাকর্মী।

সম্প্রতি কেন্দ্রের অনুরোধে কমিটির স্থবিরতা নিরসন করার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও এম এ মালিকের অনড় অবস্থানের কারণে তা আলোর মুখ দেখে নি। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাকর্মীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখা যায়। যুক্তরাজ্য বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান এম এ মালিকের পদত্যাগ দাবী করে লিখেন –

শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যুক্তরাজ্যের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে দলের পদ পদবীর অবমাননা এবং অনিয়ম, দুর্নীতি, বদমাশি, দালালী ও অশালীন আচরণ করে যারাই দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করবে তাদেরকে চিহ্নিত করে দলকে কলংক মুক্ত করা আমি বা আমাদের ঈমানি দায়ীত্ব বলে আমি মনে করি। এম এ মালেক এর বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী, পদ বিক্রি, চাঁদাবাজী, টাকা আত্মসাত্‌, এলাকাপ্রীতি, যুক্তরাজ্য বিএনপির সেক্রেটারি কয়সর এম আহমেদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, যুক্তরাজ্য যুবদলের গ্রুপিং ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ইন্ধন ও সম্প্রতি যুক্তরাজ্য মহিলাদলে গ্রুপিং সৃষ্টি সহ অসংখ্য অভিযোগ তুলে ধরেন।

যুক্তরাজ্য মহিলাদলের সদস্য সচিব অঞ্জনা আলম তার ফেইসবুকে ইঙ্গিতবহ স্ট্যাটাসে লিখেন – ভার্চুয়াল সভায় বড় বড় জ্ঞান দিয়ে আবার দলে পদ দেওয়ার নাম করে রাতভর নারী নেত্রীদের সাথে ফাজলামি করা আবার কোন ধরণের রাজনীতি? আমি সকল বোনদের বলবো এইসব লুচ্চা ফেরাউন। এদের কাছ থেকে দুরে থাকুন। এরা আপনাদের নিয়ে তামশা করবে ব্যবহার করবে কাজ কিছুই করবেনা বরং স্বার্থ শেষ পরে তারাই আপনাদের দুর্নাম করবে। তাই সাবধান আপুরা নিজের ইজ্জত সন্মান বাঁচান। আমরা দল কে প্রাণের চাইতে বেশী ভালোবাসি তাই এই কথা গুলি বলছি। কিছু লুচ্চাদের কারনে অনেক পরিশ্রমী নেত্রীরা আজ অবহেলিত।

গত কয়েক বছর পূর্বে মালিক সাহেবের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। অথচ কর্মসূচি শেষে হাইকমিশনে স্বারকলিপি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অতি উৎসাহী এম এ মালিক ও উনার অনুগত বাহিনী হাইকমিশন ভাংচুরের মতো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটায়, যা সাধারণ নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারে নি। নেতাকর্মীদের অভিমত হলো বাংলাদেশ হাইকমিশন বিএনপি বা আওয়ামীলীগের দলীয় কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। যেকোনো দেশের হাইকমিশনের উপর হামলা মানে দেশের সার্বভৌমত্বের উপর হামলা। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মাথায় কালো পট্টি বেঁধে মালিক সাহেব যেভাবে উপস্থিত হোন তা রীতিমতো নেতাকর্মীদের জন্য বিব্রতকর বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেন।

নেতাকর্মীদের এসকল অভিযোগের বিষয়ে জনাব এম এ মালিকের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মিলে নি। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকের সকল নিয়ম বহির্ভূত অসাংগঠনিক কর্মকান্ডে আজ শুধু যুক্তরাজ্য বিএনপি নয় তা লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ইমেজও নানাভাবে ক্ষুণ্ণ করছে। দলের ভাবমুর্তি রক্ষা করার জন্য তারা অচিরেই এ সকল অভিযোগের তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব