কোনো একটা টুর্নামেন্ট সামনে এলেই বাফুফে সভাপতি থেকে শুরু করে কোচ-অধিনায়কের মুখে প্রত্যাশার ফুলঝুড়ি শোনা যায়। এবারও শোনা গেছে, সাফের ফাইনালে ওঠাই নাকি বাংলাদেশের লক্ষ্য। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দলে গোল করার লোক নেই! ঠিক এই কারণে গত চার আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ যেতে হয়েছে। আর এবার গোল করতে ওস্তাদ এলিটা কিংসলিকে ছাড়াই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
ঘরোয়া লিগে খেলতে এসে বাংলাদের প্রেমে পড়ে যান নাইজেরিয়ার বংশোদ্ভুত স্ট্রাইকার কিংসলি। এখানেই তিনি সংসার শুরু করেন। এরপর নাগরিকত্বও পেয়ে যান। দেশের লিগগুলোতে গোল করার দায়িত্ব থাকে বিদেশিদের ওপর। বসুন্ধরা কিংসের দীর্ঘদেহী কিংসলি তাদের অন্যতম। এলিটাকে দিয়ে পূরণ করার স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। তাকে সাফের প্রাথমিক দলেও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এএফসির ছাড়পত্র না পাওয়ায় বাংলাদেশের জার্সিতে এলিটার অভিষেক পিছিয়ে যাচ্ছে।
ফুটবলপ্রেমীরা এর পেছনে দায়ী করছেন কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বাফুফেকে। যে মানুষটি নিজের দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে চলে এলেন, তার জন্য কি যথাযথ দৌঁড়ঝাঁপ করেছে দেশের ফুটবল ফেডারেশন? বাফুফে এলিটাকে জাতীয় দলে খেলানোর জন্য যে ব্যবস্থা নিয়েছিল, সেটি কোনো অজুহাতেই এএফসির কাছ থেকে ছাড়পত্র আদায়ের জন্য যথেষ্ট মনে হয়নি। যে কারণে ৩২ বছর বয়সী এই তারকাকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দেখা যাবে না। আর বাংলাদেশ দলের ভাগ্যে কী আছে, তা সময়েই বলে দেবে।