সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামে আত্মহত্যা করেছেন প্রেমিক যুগল। শনিবার দিবাগত রাতে তারা আত্মহত্যা করেন। তাদেরকে হত্যার পর গাছে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করছেন অনেকে। তবে পুলিশ বলছে, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এটি এখনই বলা সম্ভব না। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এলাকাবাসীর দাবি, স্থানীয় ফাতেমার সঙ্গে যুবক করিমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। গতকাল রাতে ফাতেমার সঙ্গে আম বাগানে যুবক করিম শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে ফাতেমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে তাদের মারপিটে ফাতেমা এবং করিম মারা যান। ঘটনা আড়াল করতে আত্মহত্যার প্রচার করা হচ্ছে।
মারা যাওয়া গৃহবধূ ফাতেমা বেগম (৪০) উপজেলার কয়লা ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর গ্রামের শেখ হাসানের স্ত্রী এবং যুবক করিম পাড় (৩০) শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট দক্ষিণপাড়ার জয়নাল পাড়ের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, “সকালে শেখ আব্দুল হাই আমাকে ফোন করে জানায়, ‘আমার বাড়িতে দুজন আত্মহত্যা করেছে। থানা পুলিশে খবর দাও।’ মৃত গৃহবধূ তারই পুত্রবধূ। পরকীয়ার জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।”
তবে এ ঘটনায় শেখ আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাটি থানায় জানানো হয়। মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। একটি আমগাছের ডালে একই রশিতে দুই পাশে ঝুলছিল দুই মরদেহ। আত্মহত্যার কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যুবকের শরীরে আমরা কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। তবে গৃহবধূর মুখে ও গলায় আঁচড়ের দাগ রয়েছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।