আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত হেলেনা জাহাঙ্গীর আদালতে নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করেছেন। এ সময় তিনি নিজেকে সরকার ও আওয়ামী লীগের লোক বলেও দাবি করেন।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় বিচারক হেলেনা জাহাঙ্গীরকে কিছু বলার জন্য বললে তার উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
এ নসময় হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি সরকারের লোক, রাষ্ট্রের লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি। আমি এখনো সরকার দলে আছি। কারণ বহিষ্কারের কোনো কাগজপত্র এখনো হাতে পাই নাই। আমার পদ এখনো আছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২৫টি দেশ সফর করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে আমি কোনো সময় কিছু বলি নাই, বরং যারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদের বিরুদ্ধে আমি কথা বলেছি, প্রতিবাদ করেছি, এগুলি ইন্টারনেটে আছে। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার মতো কোনো কাজ করিনি। আমি কীভাবে সরকারের বিরুদ্ধে যাই? কোথাও কোনও প্রমাণ নেই এসবের।’
হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন আসামি হেলেনা জাহাঙ্গীরকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত ১২টার দিকে গুলশানের ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসায় দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করে র্যাব।
এ সময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, চাকু, বৈদেশিক মুদ্রা, ক্যাসিনো সরঞ্জাম ও হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এছাড়া হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন আইপি টেলিভিশন জয়যাত্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।