1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৮ অপরাহ্ন

আন্দোলনের ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে না, যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। পরে কয়েক দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করেও করোনা পরিস্থিতির কারণে আর সম্ভব হয়নি। তবে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন থেকে বলা হচ্ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় খুললে আন্দোলন হবে- সেই ভয়ে সরকার খুলে দিচ্ছে না। যদিও এখন করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় দীর্ঘ ৫৪৪ দিন পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল ও কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। আর ২৭ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২১ পাসের আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আন্দোলনের ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে না- এ বক্তব্য হাস্যকর। এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর নেই।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কে কাকে আন্দোলনের ভয় দেখায়। আওয়ামী লীগ সারা জীবন আন্দোলন করেছে, আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে।

বিএনপির উদ্দেশে দীপু মনি বলেন, কারা আন্দোলন করবে- যারা জনসম্পৃক্ততাহীন, জনবিরোধী, মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত। জনগণ এই সরকারের সঙ্গে আছে।

এ সময় তিনি বলেন, করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল- তা সঠিক নয়। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ ছিল। তবে টেলিভিশন ও অনলাইনের মাধ্যমে পাঠদান পুরোপুরি চলমান ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে পাঠদান চলছে। আর পরীক্ষাও চলেছে। সরকারি ও বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়েই চলেছে। খুব একটা সেশনজটেরও সুযোগ বেশি নেই। আমরা খুব সহজে এই সমস্যার সমাধান করতে পারব।

মন্ত্রী বলেন, আমরা নতুন শিক্ষাক্রমে যাচ্ছি। পিএসসি ও জেএসসি নিয়ে যা যুগোপযোগী আমরা ঠিক সেইভাবেই করব।

আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি জরিপের উল্লেখ করে একজন সংসদ সদস্য বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বেকার থাকে। সারা দেশে এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যেখানে অনার্স-মাস্টার্স চালু করার অবকাঠামো নেই সেখানে আমাদের জনপ্রতিনিধিদের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য হয়েছে তা চালু করতে। যেখানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নেই সেখানেও অনার্স-মাস্টার্স খুলে যত্রতত্র সনদ দেওয়া হয়েছে। তার জন্য আমরা জনপ্রতিনিধিরাই অধিকাংশ দায়ী। এই দিকটা কাটিয়ে ওঠতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করছে। অনেকগুলো শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান আছে, অনেকগুলো খুবই ভালো প্রতিষ্ঠান। সেগুলো ছাড়া আর বাকিগুলোতে মাস্টার্সের বিষয় থাকবে না। সেখানে অনার্স থাকবে, বিএ, বিএসসি, বিকম থাকবে। ডিপ্লোমা করানো হবে। যাতে তারা বিভিন্ন কর্মে যুক্ত হতে পারেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিতে সংসদ সদস্যদের সভাপতিত্ব নিয়ে দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিতে সংসদ সদস্যদের সভাপতিত্বের মামলাটি এখনো বিচারাধীন। কোর্টের মামলার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমি আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে বিষয়টি দেখবেন।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব