কলকাতার নায়িকা ঋতাভরী। এই তো ভালোবাসা দিবসেও লাইভে এসে আড্ডা দিলেন ভক্ত অনুরাগীদের সঙ্গে। তবে গত ৭ মাস ধরে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করেই দিন কাটছিল নায়িকার। অবশেষে সফল অস্ত্রোপচারের পর যন্ত্রণা-মুক্তি মিলল। সফল অপারেশনের কথা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন ঋতাভরী। ক্যামেরা তাক করে গালে আঙুল ঠেকিয়ে হাসপাতালের বিছানায় বসেই ছবিও পোস্ট করেছেন নায়িকা।
গত ৭ মাস ধরে ফিসচুলায় কষ্ট পাচ্ছিলেন ঋতাভরী। সময়মতো অস্ত্রোপচার না করালে সমস্যা, বাড়ত তাই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে অপারেশ সেরে ফেললেন পর্দার শবরী। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে ভর্তি হন নায়িকা। এই সমস্যার জেরে গত বছর অগস্ট মাসেও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঋতাভরী, সেই সময়ই নায়িকার মা শতারূপা সন্যাল জানিয়েছিলেন পেরিঅ্যানাল অ্যাবসেস (মলদ্বার সংলগ্ন স্থানে ফোড়া)-এর জন্য মারাত্মক যন্ত্রণার মুখে পড়তে হয়েছিল ঋতাভরীর।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’র নায়িকা লেখেন- ‘আমার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে, সমস্যাও দূর হয়েছে। আপনাদের সকলের প্রার্থনা ও শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ। একটুও বাড়িয়ে বলছি না, গত ৭ মাস ধরে প্রায় পাগলের মতো কেটেছে। আমি বলব, শারীরিক দিক থেকে আমার জীবনের সব থেকে খারাপ ছিল গত ৭ মাস। প্রচণ্ড যন্ত্রণা হতো।
এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতেও প্রচণ্ড সমস্যা হত। তবে সেই যন্ত্রণায় ইতি..এবার সেরে উঠবার পালা।এই ছবিটা মায়ের তোলা, যখন আমি মজা করে মা-কে হাসানোর চেষ্টা করছিলাম। উনি খুব প্যানিক করছিলেন আর টেনশনে ছিলেন। মায়েরা যেমনটা করেই থাকেন আর কী! মা, মায়ের মতো থাকবে আর আমি আমার মতো! তোমারদেরকেও জানিয়ে রাখলাম আমি ঠিক আছি, সকলকে অনেক ভালোবাসা’।
ঋতাভরীর এই পোস্ট ‘গেট ওয়েল সুন’ বার্তায় ভরে গিয়েছে। মিমি চক্রবর্তী, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়রা ঋতাভরীর দ্রুত সেরে উঠবার জন্য বার্তা দিয়েছেন। ফ্যানেরাও অভিনেত্রীর আরোগ্য কামনা করেছেন।